মোঃ আবুল বাসার
নিখোঁজ সবিতা রানী মরদেহ উদ্ধারের পর রমজান ও ইউনুস নামের দুজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার সবিতা রানী দে (৫২) নিখোঁজের একদিন পর প্রতিবেশী নিয়ামুলের সেফটি ট্যাংকি থেকে সবিতা রানীর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
এদিকে মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন ইউনুসের পোল্ট্রি ফার্মের শেয়াল কুকুরের জন্য দেয়া বৈদ্যুতিক স্পষ্টে প্রাথমিক ভাবে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কেনো প্রাণী হত্যার জন্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা করা হয়েছে তার সঠিক কারণ দর্শীয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান এলাকাবাসী।
এদিকে বৈদ্যুতিক স্পষ্টের কারণে যদি সবিতা রানী দে’র মৃত্যু হয়ে থাকে, পরিবারের হাতে লাশ পৌঁছে বা কাউকে কিছু না জানিয়ে কেনো নিয়ামুলের সেফটি ট্যাংকির ভেতরে ফেলে দেওয়া হয়েছে তারও সঠিক কারণ দর্শীয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তাদের।
নিহতের স্বামী মিলন কুমার দে বলেন, ২৩ তারিখ সোমবার সকাল আনুমানিক ৮টায় গবাদি পশু (গরুর) জন্য পার্শ্ববর্তী বাঁশ বাগানে বাঁশের পাতা সংগ্রহ করতে যায় তার স্ত্রী সবিতা দে। তারপর থেকে কোন খোঁজ না পেলে স্থানীয়দের কে জানান নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি।
পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিখোঁজ সবিতা রানী দে’র সন্ধান পেতে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
এরপর গতকাল দুপুরে স্থানীয় ভাটপাড়া তদন্ত ক্যাম্পে নিখোঁজ বিষয়ে একটি সাধারণ জিডি করা হলে পুলিশ ও এলাকাবাসী সন্দেহজনক বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে প্রতিবেশীর সেফটি ট্যাংকি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
এবিষয়ে অভয়নগর থানা পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন নিহতের স্বামী মিলন কুমার দে। তারা হলেন মোঃ আজিত মোড়লের দুই ছেলে রমজান (৩৭) ও ইউনুস (৪২),
এবিষয়ে অভয়নগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, এঘটনায় নিহতের স্বামী মিলন কুমার দে একটি মামলা দায়ের করেছেন, এবং একই এলাকার দুই ভাই কে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।