আশীষ বিশ্বাস
বুড়ো প্রধান রংপুর
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার পশ্চিম পাকুড়িয়া খোয়াই বেইলী ব্রিজে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সাবেক এমপি সাবেক সেনা কর্মকর্তা রানা মোহাম্মদ সোহেল (৫৮) এর গাড়ির উল্টো ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তির নাম জিএম শাহিন। তাকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। আহত জিএম শাহিন (৪৫) সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের উষাই নগর এলাকার মৃত ইউনুছ আলীর পুত্র। জানা যায় , (১৯নভেম্বর) দুপুরে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সাবেক এমপি সাবেক সেনা কর্মকর্তা রানা মোহাম্মদ সোহেল মেজর বহনকারি ঢাকা মেট্রো ঘ- ১৩-১২৪৬ গাড়িটি শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ি যাওয়ার পথে চুনারুঘাট খোয়াই বেইলি ব্রিজে চলে আসলে যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় রানা মোহাম্মদ সোহেল গাড়িটি পেছানোর চেষ্টা করলে পিছনের মোটরসাইকেলে স্বজোড়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে দুপক্ষের বাকবিতণ্ডায় রানা মোহাম্মদ সোহেল এর সাথে থাকা পিস্তল উচিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়েন। গুলির আওয়াজে বেইলী ব্রিজে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মহুর্তের মধ্যে ব্রিজে যানজট ও আশপাশ এলাকার মানুষ জড়ো হয়। গুলাগুলি ও প্রতিপক্ষের সাথে সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে স্থানীয়রা রানা মোহাম্মদ সোহেল’কে আটক করে উত্তম মাধ্যম দিয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়।
চুনারুঘাট থানার ওসি মোহম্মদ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার বলেন যে, পিস্থল সহ রানা মোহাম্মদ সোহেল রানাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বাড়ি রংপুর জেলার কেরানীপাড়া এলাকায়। তিনি মৃত মহসিন মিয়ার পুত্র। খোজ নিয়ে জানাগেছে মনিপুরীদের রাস অনুষ্ঠান উপভোগ করতে জনৈক নারী সহ শ্রীমঙ্গল অবস্থান নেয়। পরে শ্রীমঙ্গল থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের উদ্দেশ্যে তিনি আসছিলেন। এরিপোর্ট লেখাকালে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান সন্ধ্যায় জানান, সেনাবাহিনী তাদের লোক হিসেবে তারা তাদের হেফাজতে নিয়ে গেছে। অপরদিকে আমরা তার অস্ত্র চুনারুঘাট থানা পুলিশের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মেজর কেন কি কারণে গুলি ছুড়েন বিষয়টি তদন্ত করলে জানা যাবে। খবর পেয়ে শাহজিবাজার সেনা ক্যাম্পের ক্যাপটেন সামিউনের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে ক্যাপটেন সামিউন বলেন, ঘটনাটি ভূল বুজাবুঝি। তিনি সেনাবিহনী থেকে অবসর নিয়েছেন সেটি সঠিক। তবে অস্ত্রটি লাইসেন্সকৃত কিনা যাচাই বাচাই চলছে। পরবর্তীতে আমরা জানাবো। অনুসন্ধানে জানা গেছে রানা মোহাম্মদ সোহেল সেনাবাহিনীর মেজর পদের চাকরি ছাড়েন ১৯৯৬ সালের দিকে। এর পর চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে।
পরে দেশে এসে ২০০৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত জেমকন গ্রুপে ব্যবসায়িক পরামর্শক পদে চাকরি নেন। জেমকনে চাকরি করার সময় তিনি পঞ্চগড়ে এই গ্রুপের কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট উন্নয়নে কাজ করেন। একই সময়ে নিজেও চা বাগান করার উদ্যোগ নেন। ২০১১ সালে সংশ্লিষ্ট পরিদপ্তর থেকে নিজের মালিকানায় ‘অর্গানিক অরিজিন ফার্ম লিমিটেড’ কোম্পানির নিবন্ধন নেন। অবসরের পর একটা সময় চা বাগানের বড় কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।