বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারকে ক্যাডারবহিভূত করার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন আয়োজনে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন কর্তৃক বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারকে ক্যাডারবহিভূত করার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।২৩শে ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুল সালাম হলে এই সংবাদ সম্মেলন করেন বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন । বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন ও সদস্য সচিব

উম্মে তানয়িা নাসরিন স্কাকরিত সংবাদ সম্মেলনের প্রেস বিজ্ঞপ্তি পড়েন সদস্য সচিব উম্মে তানয়িা নাসরিন । বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারকে ক্যাডারবহিভূত করার সুপারিশ প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার ও বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারকে, ক্যাডার কাঠামোর বাইরে রাখার সুপারিশ করতে যাচ্ছে। বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের ৩৫ হাজার সদস্যের মুখপাত্র “বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন” এ ধরনের একতরফা সংস্কার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা দেশবাসীর সামনে প্রশ্ন রাখতে চাই, স্বাস্থ্যের নীতিনির্ধারনী পদসমূহে একজন সরকারি চিকিৎসক সচিব হিসেবে বেশি যৌক্তিক, নাকি যে কোনোদিন স্বাস্থ্যখাত নিয়ে পড়াশোনা করেনি তার সচিব হওয়া বেশি যৌক্তিক? নিশ্চই একজন সরকারি চিকিৎসক স্বাস্থ্য খাত সম্পর্কে অনেক বেশি জানবেন। অথচ স্বাস্থ্যের নীতিনির্ধারনী পদসমূহে কোনো সরকারি ডাক্তার নেই। আমরা প্রশ্ন করতে চাই, কিভাবে একজন অচিকিৎসক আপনাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে পারেন? কিভাবে সচিবালয়ের নীতিনির্ধারনী পদসমূহে চিকিৎসক না রেখে স্বাস্থ্য সংস্কারের প্রস্তাব দেয়া হতে পারে? এটা কি যৌক্তিক? বিগত সময়কালে সচিবালয়ে অচিকিৎসক কর্মকর্তাগণ স্বাস্থ্যকে স্বাস্থ্যকে বিজ্ঞানভিত্তিক ও যুগপোযোগী না করে বরং উল্টো পথে হেঁটে আমলাতান্ত্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কায়েম করেছে।

যার ফলে স্বাস্থ্য খাত আজও কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি এবং জনস্বার্থমুখী স্বাস্থ্য খাত না হয়ে মন্ত্রী ও আমলামুখী পুঁজিবাদী ও স্বার্থবাদী স্বাস্থ্য খাত সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বশীল ও নীতিনির্ধারনী পদসমূহে মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন স্বাস্থ্য ক্যাডারের দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করে প্রকৃত বিজ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা সম্ভব।আমরা বলতে চাই, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রকৃত সংজ্ঞার প্রস্তাবনা বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকে ক্যাডার বহির্ভূত করার যে হঠকারি সুপারিশ করেছেন, তা বর্তমান কালীন সরকারের মেধাবৃত্তিক জনপ্রশাসন তৈরি ও বৈষম্য বিরোধী মূল চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। এই সুপারিশ প্রত্যাহার করা না হলে প্রশাসনিক সংস্কার হবে। সংস্কার কমিশন কর্তৃক বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের প্রতিনিধিদের সাথে কোনরুপ আলোচনা ব্যতীত এমন প্রস্তাবনা তৈরি এবং গণমাধ্যমে এক তরফা ভাবে প্রচার করা সুবিবেচনা প্রসূত নয়। এতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দক্ষতার সুস্পষ্ট ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এরূপ সিদ্ধান্তের ফলে দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ও জনগণের প্রাপ্তিক পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিতে পারে। উদ্ভূত যেকোনো ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতির কোনোরূপ দায়ভার বিসিএস হেলথ ক্যাডার এসোসিয়েশন বহন করবে না। আমরা সংস্কার কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানাই, তবে দুরভিসন্ধিমূলক সুপারিশকে সংস্কার প্রস্তাব হিসেবে মানা হবে না। দেশের প্রত্যন্ত ইউনিয়ন থেকে রাজধানী পর্যন্ত বাংলাদেশের বৃহত্তম চিকিৎসা প্রদানকারী ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপালনকারী গ্রুপ বিসিএস হেলথ ক্যাডারের অফিসারগন। আমরা স্বার্থহীন কণ্ঠে আনাতে চাই, হেন ক্যান্ডারের সাথে আলোচনা ব্যতিত কোনোরূপ সংস্কার প্রস্তাব মেনে নেয়া হবে না বলে তারা মনে করে ।