আজাদ হোসেন, যশোর
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার লাউজনি গ্রামের মৃত মমিনুল হকের পুত্র মোহাইমেনুল হক। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে চাকুরির পেছনে না ঘুরে হয়েছিলেন কৃষি উদ্যোক্তা। সফলতার মুখও দেখেছিলেন। অনেকবারই তিনি সফল কৃষি উদ্যোক্তার পুরস্কার জিতেছেন। এই সফলতায় যেন কাল হয়েছে মোহাইমিনুল এর। তারই এলাকার একটি মহল এই সফলতাকে মনে নিতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে তার ক্ষতি করে চলেছে এই মহলটি। ইতিপূর্বে তার মাছের ঘের কেটে মাছ বের দেওয়া, সবজি ক্ষেত নষ্ট করে দেওয়া, তাকে মেরে পঙ্গু করে দেওয়া সহ অনেক ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬ অক্টোবর মোহাইমিনুল এর ৭ বিঘা জমির ফলন্ত পেঁপে গাছ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। যাতে তার ১৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়। এই ঘটনায় ঝিকরগাছায় একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। গত ৩০ অক্টোবর এই মামলায় সন্দেহজনক এক আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিয়ে আসে পুলিশ। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হবার আগেই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের নেতারা তাকে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। এরপর সেই রাতেই মোহাইমিনুল এর পুকুরে বিষ ঢেলে দিয়ে মাছ মেরে ফেললো দুর্বৃত্তরা।
মোহাইমিনুল হক জানান বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ঝিকরগাছা থানাধীন সদর ইউনিয়নের লাউজানি গ্রামের নারাঙ্গালী রোডে নিজ চাষকৃত ২.৫ বিঘা জলধারের মাছের ঘেরে কে বা কারা বিষ প্রয়োগ করে পুকুরের মাছ মেরে ফেলেছে। যাতে অনুমান ৪-৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, একই মহল আমার ক্ষতি করে চলেছে। বারবার থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। এখন আমার চাষবাস বন্ধ করে দিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারন এত আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বাবলুর রহমান বলেন বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলার খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনা অনুসন্ধান করেছেন। একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।