1. admin@dailypurbodigantonews24.com : admin :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আংশিক আহবায়ক কমিটি গঠন সিলেটে এই প্রথম দুই দিনব্যাপী হাছন উৎসব হাছন রত্নে ভূষিত হলেন ৭ বিশিষ্ট গুণীজন। নড়াইলে ৫ দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলার আয়োজন। কোটচাঁদপুরে সরিষা চাষে স্বল্প খরচে বেশি লাভ, খুশি কৃষকেরা যশোরের মনিরামপুরে নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্য পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ উপ-প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ প্রদান অভয়নগরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খান এ কামাল গ্রেফতার ঝিকরগাছায় অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ কুড়িগ্রাম ব্রহ্মপুত্র নদে যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতি, অর্থ-মালামাল লুট যশোরে আওয়ামী লীগের ১৬৭ নেতাকর্মীর আদালতে আত্মসমর্পণ। যশোরের অভয়নগর নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরন কর্মশালা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়

কোটচাঁদপুর দোড়া ইউনিয়নে রাস্তার চিত্র দশ গ্রামে ৩০ হাজার লোকের ভোগান্তি

মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী,ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৬৭ বার পঠিত

মোঃ আবু সাইদ শওকত আলী
    ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি

দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এখনো গলার কাটা হয়েই আছে দশ গ্রামের মানুষের। সামান্য বৃষ্টিতে ওই রাস্তা পাড়ি দিতে তাদের দশ কিলোমিটার। আর এভাবেই চলছে যুগের পর যুগ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম চলে যাচ্ছে, কিন্তু রাস্তাটি নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেই দায়িত্বশীলদের। জানা যায়, ঝিনাইদহের কোটচাদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের রাস্তার চিত্র এটি। রাস্তাটি লক্ষিপুর, দয়ারামপুর, ধোপাবিলা ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের মোড় থেকে ভোমরাডাঙ্গা গ্রামের সঙ্গে মাত্র দেড় কিলোমিটারের কাঁচা রাস্তা।

এই রাস্তাটি এখনো দশ গ্রামের মানুষের গলার কাঁটা হয়েই আছে। চুয়াডাঙ্গা গ্রামের জামিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিনিয়ত। রাস্তাটি দিয়ে আমরা যাতায়াত করি। এ ছাড়া রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করেন ও মাঠের ফসল ঘরে তোলেন প্রায় দশ গ্রামের মানুষ। যার মধ্যে রয়েছে, ভোমরাডাঙ্গা, সোয়াদি, চুয়াডাঙ্গা, যোপাবিলা, মল্লিকপুর, ভগবানপুর, লক্ষিপুর, শিবনগর, দয়ারামপুর। তিনি বলেন,রাস্তাটির লক্ষিপুর মোড় থেকে ভোমরাডাঙ্গা গ্রাম পর্যন্ত মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা।

সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে আমাদের ঘুরতে হয় দশ কিলোমিটার।তিনি আরো বলেন, আমার দাদা, বাবা এভাবে বসবাস করে গেছেন। আমাদের জীবনও প্রায় শেষ। জানি না আমরা জীবিত থাকতে রাস্তাটি হবে কিনা। জামিরুল ইসলাম বলেন,রাস্তাটি দিয়ে এলাকার মানুষ মাঠ থেকে তাদের উৎপাদিত ফসল বিভিন্ন বাজারে নিয়ে যেতে হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় আগের সনাতন পদ্ধতি গরুর গাড়ি ও দিন মজুরের মাধ্যমে মাথায় করে তা বহন করতে হয়। লক্ষিপুর গ্রামের সাত্তার আলী ও আশরাফুল আলম ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, কত জরুরি মানুষ এ রাস্তায় আসলো কেউ করে দিতে পারলো আমাদের এ রাস্তা। আমাদের বাপ দাদারা এভাবে কষ্ট করে চলাচল করে জীবন পার করেছেন।

এখন আমাদের জীবন পার করার মত হয়ে গেল। জানি না আমাদের ছেলে মেয়েরা ভাল রাস্তায় চলাচল করতে পারবে কিনা। তবে আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছি। এখন নিজেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুণ্ডু বলেন,রাস্তাটি সম্ভবত আমাদের। তবে রাস্তাটি সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নাই। আমি সরেজমিনে দেখার জন্য আমার অফিসের হুইজাইফাকে দায়িত্ব দিয়েছি। ওনি এসে রিপোর্ট করলে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে।
তবে প্রকৌশলীর আশ্বাসের এক মাস পার হয়ে গেলেও ওই রাস্তা সংক্রান্ত  কোন তথ্যই আজও দিতে পারেনি গণমাধ্যম কর্মীদের।

 

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর