কোটচাঁদপুরে ফার্ণিচার ব্যবসায়ী শাহাজান আত্ম কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জীবন বদলে গেল
কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়ন এর রেল স্টেশন বাজার ফুটবল খেলার মাঠ সংলগ্ন শাহাজান কাঠ ফার্ণিচারের মালিক কাঠ মিস্ত্রি শাহাজান আলী অল্প বয়স থেকেই নিজেকে নিজেই প্রতিষ্ঠিত করতে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি বলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার রায়পুর গ্রামে আমার বাসা।অভাবের সংসার ৩ ভাই ১ বোন ভাইদের মধ্যে আমি মেজো ছোট বেলা থেকেই লেখা পড়া সামান্য প্রাইমারী শেষ না করতেই যোগ দিতে বাধ্য হয়ে কর্মসংস্থানে। সেই ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন ছিল নিজেকে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। স্বপ্ন পূরণে শুরু হয় কাঠের ফার্নিচার তৈরী করার কাজ।দীর্ঘ বছর বিভিন্ন মিস্ত্রির মাধ্যমে শেখা হয় ফার্ণিচারের কাজ।বিভিন্ন ডিজাইনের কাঠের ফার্নিচার তৈরী করে তাক লাগিয়ে দিতেন শিক্ষা গুরুদের।শিক্ষা গুরুরা তখন থেকেই বলতেন অসাধারণ প্রতিভা তোমার মধ্যে। সেই দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে শুরু হলো নিজের মত করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা। যে কথা সে কাজ সেভাবেই যেন নিজেই নিজের মতো পথ চলা। ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা উভয় জেলার শেষ সীমানা রায়পুর গ্রাম। ৪ কিলোমিটার দূরে সাফদারপুর বাজারে গড়ে তুলেন কাঠের ফার্নিচারের দোকান। তার ফার্নিচারের দোকান তৈরী হচ্ছে বিভিন্ন আধুনিক ডিজাইনের কাঠের ফার্নিচার। দেশ বিদেশের বিভিন্নরকম ডিজাইনের ফার্নিচার তৈরী করে এলাকার মানুষের নিকট এক পরিচিত নাম শাহাজানের ফার্ণিচার। পছন্দসই কাঠ দিয়ে নামি-দামি ফার্ণিচারগুলো নিয়ে যাচ্ছে এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে।প্রতিনিয়ত আসছে একের পর এক ফার্নিচারের অর্ডার। ফার্ণিচার অর্ডার দিতে আসা এলাকার ইসমাইল হোসেন বলেন আমি ৮ বছর পূর্বে বক্সখাট, ড্রেসিন টেবিল, সোকেচ তৈরী করে নিয়ে ছিলাম এখান থেকে যা আজও কোন কাঠের ঘুন ধরেনি নষ্ট হয়নি। আমি পরবর্তীতে আজকে আসলাম সুপার সেট ডাইনিং টেবিলের অর্ডার করতে। সুফিয়া খাতুন বলেন আমি লোক মুখে শুনেছি শাহাজান ফার্ণিচারের দোকানে ভালো কাঠ দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের ফার্নিচার তৈরী করে সেই জন্য এসেছি। মরিয়ম নামে অন্য এক প্রবাসীর স্ত্রী তার ছেলে সহ আসেন ওয়্যার ড্রপ সুপার সেট ডাইনিং টেবিলের অর্ডার করতে। তিনি জানান আমার বাসা দর্শনা। আমি লোক মুখে শুনে এখানে এসেছি ভালো ফার্নিচার তৈরী করে সেই জন্য। এভাবেই সুনামের সঙ্গে ফার্নিচারের ব্যবসা করে নিজেই আজ প্রতিষ্ঠিত।গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন বাড়ি মাঠে কিনেছেন আবাদী জমি।সন্তানদের করেছেন শিক্ষিত। নিজের ফার্নিচারের দোকানে ১০ থেকে ১২ জনের প্রতিনিয়ত করেছেন কর্মসংস্থান ব্যবস্হা।এখান থেকেই শতাধিক মানুষের হচ্ছে রিজিকের ব্যবস্হা।আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে নিজেকে নিজেই প্রতিষ্ঠিত করা হলে বেকারত্ব দুর করে দেশ হবে স্বাবলম্বী।